চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস আই রুপন আসামিদের গ্রেপ্তার ও আদালতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইমরান হোসেন প্রকাশ এমরান হোসেন (৩৫), মো. হাসান প্রকাশ হাসাঈন (২২), রাসেল প্রকাশ কালো রাসেল (৩০), মো. আলমগীর (৩৫), মো. নজরুল ইসলাম (৩০), মো. জাহেদ (৩০), মো. আরমান (২৪), দিদারুল আলম (৪৬)।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ও তদন্তে প্রাপ্ত মোট ৮ জন আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে ৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত মামলা দায়ের করে।
দিকে পুলিশের প্রতিবেদনের তথ্যে জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাফিয়া খাতুনের ভাড়া বাসার গেট খোলাকে কেন্দ্র করে দারোয়ানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরবর্তীতে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠি-সোটা, রামদা ও ইট-পাটকেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, যৌথবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও হামলাকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও আক্রমণ চালায়।
সংঘর্ষের সময় প্রক্টরিয়াল বডির নোহা গাড়ি (চট্টগ্রাম-চ-৫১-০০১০), বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পিকআপ (চট্টগ্রাম-ম-৫১-০০১৫), বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি (চট্টঃ মেট্রো-১১-০৮২২) এবং নিরাপত্তা প্রধানের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলসহ অন্তত চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে আনুমানিক সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত এর আগে গত শনিবার ও রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে চবির নিরাপত্তা দপ্তর থেকে অস্ত্র লুটের অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনায় মঙ্গলবার মামলা দায়েরের কথা জানায় চবি প্রশাসন। তাছাড়া অস্ত্র লুটের ঘটনায় করা হয় জিডি।