• ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালী আঞ্চলিক হাঁস খামারে সর্বনিম্ন দরদাতা’কে হটিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা’কে কাজ দেওয়ার পায়তারা

Gagan Alonews
প্রকাশিত জুলাই ২০, ২০২৫, ২২:২৮ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালী আঞ্চলিক হাঁস খামারে সর্বনিম্ন দরদাতা’কে হটিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা’কে কাজ দেওয়ার পায়তারা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে হাঁসের খাদ্য সরবরাহের দরপত্রে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে । এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় জিডি করা হলেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অনিহা থানা পুলিশের।কতৃপক্ষের নিকট সার্বিক বিবেচনায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী ভুক্তভোগী ঠিকাদারের।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৭-০৭-২০২৫ইঃ তারিখ ছিলো পটুয়াখালী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে হাঁসের খাদ্য সরবরাহের দরপত্র ও স্যাম্পল জমা দানের শেষ তারিখ ছিলো,এ দিন সকালে মেসার্স মাহিয়ান বিল্ডার্স এর প্রতিনিধি মোঃ আঃ সালাম আনুমানিক সকাল৯টার দিকে পটুয়াখালী কালিকাপুর অবস্থিত উক্ত অফিসে পশুখাদ্যের স্যাম্পল (স্টাটার৫০কেজি, গ্রোয়ার৫০কেজি, ব্রিডার৫০কেজি) ইনটেক প্যাকেট জমা প্রদান করে, এ সময় উক্ত অফিস থেকে নমুনা প্রাপ্তি রশিদ দেয়া হয় নি।পরবর্তীতে আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টার সময় স্যাম্পল বাবদ ধানের তূষ উক্ত অফিসে জমা দিতে গেলে আগে থেকে অফিসের গেইটে ওঁৎ পেতে থাকা ৮/১০ জনের একটি স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী সালাম’কে আটকিয়ে রাখে এবং স্যাম্পল স্বরুপ সাথে থাকা ধানের তূষ জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয় যাতে করে মেসার্স মাহিয়ান বিল্ডার্স এই দরপত্রে নমুনা বা স্যাম্পল জমা দিতে না পারে। এক পর্যায়ে বেলা ৪টা’র দিকে সালামকে ছেড়ে দেয় এবং সোজা ঢাকা চলে আসতে বলে অন্যথায় তাকে মারধরের হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।পরবর্তীতে সালাম মুক্ত হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি জিডি করেন জিডি নং ৩৪৭,তারিখ ৭-০৭-২০২৫ইং।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ঠিকাদার মোঃ বাবুল বলেন,আমি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার দীর্ঘদিন ধরে পশুখাদ্য সরবরাহের ঠিকাদারি কাজ করে আসছি,ঘটনার দিন আমার প্রতিনিধি সালাম’কে ঘটনাস্থলে আটকে রেখে তার কাছে থাকা পশুখাদ্যের স্যাম্পল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় যাতে করে আমি দরপত্রের নমুনা বা স্যাম্পল জমা প্রদান করতে না পারি,আমি বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ উক্ত প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আতিকুর রহমান’কে মোবাইলে জানালে তিনি আমাকে জানান যে,ঘটনাটি যেহেতু আমার অফিসের বাইরে ঘটেছে তাই আমার কিছু করার নাই আপনি স্থানীয় প্রশাসন’কে জানান।পরবর্তীতে আমার লোক’কে সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দিলে তাকে দিয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি জিডি করার ব্যবস্থা করি। এসময় তিনি আরও বলেন,দরপত্র আহবান চলাকালীন সময়ে যদি কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে তবে কতৃপক্ষ সে ব্যাপারে পিপিআর ২০০৮আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করার কথা অথচ এক্ষেত্রে সকল আইন’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজটি দেওয়ার পায়তারা করছেন আঞ্চলিক সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ আতিকুর রহমান। বাবুল আরও অভিযোগ করে বলেন….

সিনিয়র সহকারী পরিচালক তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমি সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া স্বত্তেও আমাকে সুযোগ না দিয়ে আমাকেই উক্ত দরপত্রে স্যাম্পল জমা না দেওয়ার অভিযোগে অযোগ্য ঘোষণা করে সর্বোচ্চ দরদাতা মেসার্স কাশবন এন্টারপ্রাইজ’কে পশুখাদ্য সরবরাহের কাজটি দেওয়ার চক্রান্ত করছে।এদিকে কে বা কারা আপনার স্যাম্পল ছিনতাই করতে পারে বা দরপত্রে অংশগ্রহণে বাঁধা দিতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু কাউকে আমি বা আমার প্রতিনিধি চিনতে পারিনি, তাই সুনির্দিষ্ট ভাবে কারোর নাম বলতে পারি না, তবে এটা নিশ্চিত যে, এই দরপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্য ঠিকাদারের লোকজন স্যাম্পল ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে , থানা পুলিশ ঘটনা স্থলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে ও সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

এবিষয়ে আরও জানা যায়, এবারে দরপত্র আহ্বানে অংশ গ্রহণ করে দুটি প্রতিষ্ঠান একটি হলো মোঃ কাউছার এর মেসার্স কাশফুল এন্টারপ্রাইজ ও বাবুল এর মেসার্স মাহিয়ান বিল্ডার্স এর মধ্যে মাহিয়ান বিল্ডার্স সর্বনিম্ন দরদাতা ও কাশফুল এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন। এ বিষয়ে আঞ্চলিক সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ আতিকুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তিনি যে ভাবে বলবেন পরবর্তী পদক্ষেপ সেভাবে নেয়া হবে।পরিচালক (উৎপাদন) ড.খালেদুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, ঢাকা এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে, এ প্রসঙ্গে কোনো কথা না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অন্যদিকে পটুয়াখালী সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃইমতিয়াজ আহমেদ এর নিকট জিডি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো। এদিকে এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী সদর থানার এসআই সিহাব বাহাদুর বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেছি,গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখা হবে।অন্যদিকে অভিযোগের তীর যে দিকে সেই অভিযুক্ত ঠিকাদার কাউছারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।