আগৈলঝাড়ায় বাঁশের মই দিয়ে উঠতে হচ্ছে ২৭ লক্ষ টাকার ব্রীজে। মই দিয়ে ব্রীজে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারন লোকজন। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে তারা প্রভাবশালী ঠিকাদারের ভয়ে কিছুই বলতে পারছেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল কলেজের শিক্ষার্থীদের পারাপারের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল ২৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬১৮ টাকা ব্যয়ে ওয়াপদা খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে মুলাদী উপজেলার বান্দরোডের মেসার্স পাপ্পু এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়ে ২০২৩ সালের ৬ আগষ্ট কাজ শুরু করে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ করেন। দীর্ঘ ছয়মাস ধরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রীজের দু-পাশের ত্র্যাপ্রোস সড়ক নির্মাণ না করায় শিক্ষার্থী ও সাধারন লোকজনের পারাপার হতে হচ্ছে বাঁশের মই দিয়ে। বাঁশের মই দিয়ে উঁচু ব্রীজে উঠতে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ওই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন শতশত লোক যাতায়াত করছেন।
বাশাইল কলেজের ফাতেমা আক্তারসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এই মই দিয়ে ব্রীজ পারাপার হতে আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় আমরা মই এর নিচের পানিতে পরে যাই।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অয়ন সাহা বলেন, টেন্ডারটি আমি আসার পূর্বে হয়েছে। তারপরেও আমি সরেজমিন দেখে দ্রুত ব্রীজের এ্যাপ্রোস সড়ক নির্মাণ করার ব্যবস্থা করবো।
ওই কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক বাদল হোসেন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ হলেও আমি কাজ করতে পারিনি। যারা কাজ করেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্রীজের ত্র্যাপ্রোস সড়কের কাজ করার ব্যবস্থা করে দিবো।