স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা
বিএনপি চেয়ারপারসনের নবনির্বাচিত উপদেষ্টা জনাব ড. জিয়াউদ্দিন হায়দারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মো: রেজাউল হাসান মুন্না, সাবেক ছাত্রদল নেতা, ঝালকাঠী জেলা জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি, প্রবাসী কল্যান সম্পাদক, ঝালকাঠী সদর উপজেলা বিএনপি এবং সাধারন সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজ, ঢাকা মহানগর উত্তর।
সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত উপদেষ্টা ড. জিয়া উদ্দিন হায়দার স্বপন। এ সময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জিয়া উদ্দিনের সাথে দলকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে আলোচনা হয়। তিনি ভবিষ্যতে স্থানীয় রাজনীতি নয় বরং জাতীয় পর্যায়ে দলকে কি ভাবে আরো সুশৃংখল ও সুসংগঠিত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় ম্যাডামের পক্ষে সে বিষয়ে কাজ করার পাশাপাশি পরামর্শ দিবেন। এছাড়াও একটি দক্ষ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কাজেও সহায়তা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ঝালকাঠির কৃতি সন্তান বিশ্ব ব্যাংকের সদ্য সাবেক সিনিয়র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. এসএম জিয়াউদ্দিন হায়দার স্বপন। ঝালকাঠি, তথা বৃহত্তর বরিশালে সত্যিকার অর্থে একজন কর্মীবান্ধব নেতার অভাব আপনার মাধ্যমে পূরণ হবে- এটাই প্রত্যাশা।ঝালকাঠির সদর উপজেলার নৈকাঠিতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দারের পরিবার জাতীয়তাবাদী আদর্শে দীক্ষিত। বাবা মরহুম হরমুজ আলী সিনিয়র সহকারী সচিব ছিলেন। ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের প্রথম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া হায়দার আশির দশকে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে পেশাদার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার পঁয়ত্রিশটি দেশে টেকসই স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও টেকসই উন্নয়নে ত্রিশ বছর কাজ করেছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সর্বশেষ তিনি বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে গত ফেব্রুয়ারিতে অবসর নেন। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা শেষে ফিলিপাইন ইউনিভার্সিটি থেকে খাদ্য ও পুষ্টি পরিকল্পনায় মাস্টার্স এবং সুইডেনের উমিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পুষ্টি ও মহামারি বিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে জিয়া হায়দার কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির অ্যাডজাঙ্কট অধ্যাপক।
তিনি করোনাকালে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার তুখোড় সমালোচনা করে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে আশু করণীয় নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় লেখালিখি করেন।জিয়া হায়দার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আদর্শ সৈনিক। তার মতো ব্যক্তিত্বকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রাখা ভবিষ্যৎ অনুজদের জন্য একটি বার্তা। আগামী দিনে পরিচ্ছন্ন ইমেজ, ভালো ক্যারিয়ার ও দীর্ঘ পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নের এ যেন পরোক্ষ ইঙ্গিত।